Saturday, August 29, 2015

কম্পিউটারের কিছু সাধারন সমস্যা ও সমাধান

By Admin Unknown  |  6:05:00 PM No comments

আপনি আপনার কম্পিউটারে কাজ করছেন আর হঠাৎ করে দেখলেন একটি এরর মেসেজ এসেছে বা আরো খারাপ হলে দেখা যাবে আপনার কম্পিউটারটি হ্যাং করেছে বা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনার কম্পিউটারের কি সমস্যা আছে এবং সেগুলি কিভাবে সমাধান করবেন সেটা বের করা একটি কষ্টসাধ্য কাজ হতে পারে, বিশেষ করে তখন যখন আপনি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না। আজকে আসুন কিছু কমন সমস্যাগুলি এবং কিভাবে সেগুলি সমাধান করবেন তা জেনে নেই।
১) ব্লু স্ক্রীন অফ ডেথঃ নীল রঙটি অনেকের প্রিয় হলেও আপনার কম্পিউটারে যখন ব্লু স্ক্রীনে সাদা লেখা দেখা যায় তখন সেটা মোটেও কোন আনন্দের কারণ হতে পারে না। ব্লু স্ক্রীন আসাটা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যতম ভীতির কারণ। যাই হোক, ব্লু স্ক্রীন আসলে বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটার রিবুট করলেই তা ঠিক হয়ে যায়। অনেক কারনেই এই সমস্যাটি হতে পারে, যেমন- ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যার, ক্ষতিগ্রস্ত সফটওয়্যার, করাপ্ট DLL ফাইল, ড্রাইভারে সমস্যা এবং আরও অনেক কিছু।
আসল সমস্যার উপরই এর সমাধান নির্ভর করে। সমস্যাগুলি বোঝার ও সমাধানের উপায় স্ক্রীনেই কোড হিসেবে আসে।
২) কম্পিউটার খুব স্লোঃ এটি হচ্ছে সবচেয়ে কমন সমস্যা। একটি স্লো কম্পিউটার অনেক হতাশার কারণ হতে পারে, কিন্তু কম্পিউটারটি বদলানোর আগে
আপনি নিজেই কিছু কাজ করতে পারেন। কম্পিউটার স্লো হওয়ার পিছে নানা কারণ থাকতে পারে, কিন্তু সবচেয়ে কমন হচ্ছে মেইনটেনেন্সের অভাব। অসম্পূর্ণ ড্যাটা, করাপ্টেড রেজিস্ট্রি, স্পাইওয়্যার, এবং অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম একসাথে চললে তা সহজেই আপনার পিসির স্পীড এবং পারফরম্যান্স কমিয়ে দিতে পারে।
তাই আপনার সব প্রোগ্রাম সম্পর্কে অবগত থাকুন। যেগুলি আপনি ব্যবহার করেন না বা যেগুলি ব্যবহার করা শেষ সেগুলি বন্ধ করে দিন। আপনার রেজিস্ট্রি ক্লিন করুন নিয়মিত। এই দুটি কাজ করলেই আপনার পিসির স্পীড ৩০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
৩) কম্পিউটার স্থির হয়ে যায়ঃ এটিও একটি কমন সমস্যা কিন্তু স্লো কম্পিউটারের চেয়ে গুরুতর। বেশিরভাগ সময়ই ভাইরাসের কারণে এটি হয়, বিশেষত আপনার কম্পিউটারে ইনস্টলড স্পাইওয়্যারের কারণে। কোন ইমেইল থেকে ভুয়া ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করলে এটি হতে পারে। অনেক সময়ই এই মেইলগুলি দেখে মনে হয় এগুলি আপনার ব্যাংক, পেপ্যাল, ফেসবুক বা এধরনের মাধ্যম থেকে এসেছে। এই সমস্যাটি হার্ডওয়্যার থেকেও হতে পারে, যেমন আপনি যদি নতুন কোন মেমোরি ইনস্টল করে থাকেন বা কোন সফটওয়্যার আপডেট করে থাকেন তাহলে এটি হতে পারে।
যেকোন লিঙ্কেই ক্লিক করার আগে কার্সর তার উপর নিয়ে দেখুন সন্দেহজনক কিছু মনে হয় কিনা। আপনার পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য কাওকে দেবেন না, যদিও আপনার মনে হয় যে এটি আপনার ব্যাংকের দরকার আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে। আপনার অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার আপডেটেড আছে নাকি লক্ষ্য রাখুন। বেশিরভাগ অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামই অটোমেটিক আপডেটের জন্য সেট করা যায়।
৪) কম্পিউটার আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়ঃ সাধারনত পাওয়ার সাপ্লাই, কেব্‌ল কানেকশন, অকেজো ব্যাটারি বা ওভারহিটিং এর কারণে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়।
কম্পিউটার চালানোর আগে দেখে নিন সব কেব্‌ল ঠিকমত লাগানো আছে কিনা। কম্পিউটার খুব গরম হয়ে গেলে, দেখুন ফ্যানে কি ধুলা জমেছে কিনা যেটি পরিষ্কার করা লাগবে। ল্যাপটপ হলে দেখুন আপনার ব্যাটারি কি ঠিক আছে কিনা।
৫) ডেটা ব্যাকআপ না রাখাঃ দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই এখনো ডেটা ব্যাকআপ রাখাটা জরুরী বলে মনে করেন না। জরুরী ডকুমেন্ট, ছবি, মিউজিক লাইব্রেরি এবং ইমেইল অটোমেটিকেলি স্টোর হয় আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে- যেটি একটি মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইস। এটি যদি ব্রেক ডাউন করে তাহলে আপনার এসব ডেটা চিরতরে হারিয়ে যাবে। আপনার হার্ড ড্রাইভ নির্মাতার ওয়ারেন্টি থাকলেও তারা শুধু হার্ড ড্রাইভটি বদলে দিবে, আপনি আপনার ডেটা আর ফিরে পাবেন না।
তাই অটোমেটিকেলি এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ, সার্ভার বা ক্লাউড সার্ভিসে ব্যাক আপ রাখার ব্যবস্থা করুন। ব্যাক আপ করার প্রসেসটি অটোমেটেড হলে সুবিধা, তাহলে আপনার বারবার মনে করে এটা করা লাগবে না। অনলাইন ব্যাক আপ সলিউশনে সুবিধা হচ্ছে আপনি বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে এটি এক্সেস করতে পারবেন।
৬) স্মার্টফোন কম্পিউটারের সাথে সিঙ্ক হয়নাঃ স্মার্টফোনের ব্যাক আপ রাখার জন্য এটি নিয়মিত কম্পিউটারের সাথে সিঙ্ক করা জরুরী। মাঝে মাঝে স্মার্টফোনের বা কম্পিউটারের ধরণের কারণে সিঙ্ক হতে চায় না। সিঙ্ক করার সময় মাঝে মাঝে সব প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া লাগে।
সিঙ্ক করার সময় সব খোলা অ্যাপ্লিকেশনগুলি বন্ধ করে দিন। প্রপোসড আপডেটগুলি ডাউনলোড করুন অথবা রিজেক্ট করে দিন, যাতে সিঙ্ক্রোনাইজেশন ঠিকমত হয়।



» Thanks for reading: কম্পিউটারের কিছু সাধারন সমস্যা ও সমাধান
Author: Unknown

Jangan pernah takut sebelum mencobanya dan jangan pernah berhenti sebelum berhasil (KEDIA SOFT).

0 comments: